শবে মি'রাজ অর্থাৎ রজবুল হারামের ২৭ তারিখের ফজীলত হলো- "একশত বৎসর" ও "ষাট মাসের" নেকী সমপরিমাণ সওয়াব৷

 শবে মি'রাজ অর্থাৎ রজবুল হারামের 27 তারিখের ফজীলত হলো- "একশত বৎসর" ও "ষাট মাসের" নেকী সমপরিমাণ সওয়াব৷



(এ রজনী সম্পর্কে বিরোধীদের অপব্যাখ্যার জবাব৷)
=====================================
#নবীজির মি'রাজ এর তারিখ নিয়ে মতভেদ থাকলেও ইসরা তথা বায়তুল্লাহ শরীফ থেকে বায়তুল মোকাদ্দাসের রাত্রিকালীন সফর অস্বীকার করলে ঈমান থাকবেনা৷ কেননা সূরা বনী ইসরাঈলের শুরুতে আল্লাহপাক এর বর্ণনা করেছেন৷
আর নবীজির মি'রাজ শরীফ তথা বায়তুল মোকাদ্দাস হতে সপ্তম আসমান পাড়ি দিয়ে আল্লাহর দীদার লাভ৷ এটাকে অস্বীকার করলে গোমরাহী হতে হবে৷ কেননা মি'রাজ শরীফ বুখারী ও মুসলিম শরীফ সহ অগণিত সহীহ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে৷
আল্লামা ইবনে জাওযী রহঃ, (ওফাত 597 হিজরী), তিনি উনার "আল মুনতাযাম" কিতাবের খন্ড-3, পৃষ্ঠা-26 এ রজবের 27 তারিখে নবীজির মি'রাজ সংঘটিত হওয়ার কথা বর্ণনা করেন৷

আল্লামা ইবনে কাছীর বলেন-

ان الاسراء كان ليلة السابع والعشرين من رجب، وقد اختاره الحافظ عبد الغني بن سرور المقدسي في سيرته والله اعلم،

অর্থঃ নিশ্চয়ই মি'রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছিল "রজব মাসের সাতাইশ তারিখ"৷ আর এটাকে প্রাধান্য দিয়েছেন হাফিজুল হাদিস আল্লামা আব্দুল গনী ইবনে সরুর আল মাকদিসী উনার সীরাত নামক কিতাবে৷ আল্লাহপাক অধিক জানেন৷

সূত্রঃ
1• আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাছীর, খন্ড-2, পৃষ্ঠা-116,
2• সীরাতুন নববীয়্যাহ, ইবনে কাছীর, খন্ড-2, পৃষ্ঠা-93,
3• উমদাতুল ক্বারী শরহে সহীহ বুখারী, আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী, খন্ড-4, পৃষ্ঠা-59,
4• ইমতাউল আসমাউ, তকীউদ্দীন মুকরিযী, ওফাত-845 হিজরী, খন্ড-10, পৃষ্ঠা-338,
5• নুজহাতুল মাজালিস, ইমাম আব্দুর রহমান সাফুরী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-144,

আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী বলেন-
وكان الاسراء ليلة السابع والعشرين من رجب علي ما عليه الاكثر في السنة الثانية عشرة من النبوة قبل الهجرة،

অর্থঃ আর নবীজির মি'রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছে নবুয়তের দ্বাদশ বর্ষে রজব মাসের 27 তারিখ৷ যার উপর অধিকাংশের মত রয়েছে৷

সূত্রঃ

তাফসীরে রুহুল বয়ান, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী, খন্ড-4, পৃষ্ঠা-654,
#রজব মাসের "সাতাইশ তারীখ" অর্থাৎ মি'রাজ রজনীর ফজীলতঃ
হুজ্জাতুল ইসলাম, ইমাম গাজ্জালী রহঃ উনার বিশ্ববিখ্যাত কিতাব "ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন " নামক কিতাবের ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ নামক অধ্যায়ে বৎসরে "পনেরটি ফজীলতের রজনীর কথা উল্লেখ করেন" এর মধ্য হতে অন্যতম রজনী হলো- রজব মাসের 27 তারিখ৷

নিম্নে "সাতাইশ রজব" অর্থাৎ মি'রাজ রজনীর ফজীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস শরীফ রেফারেন্স সহ উল্লেখ করা হল৷
হাদিস নং-একঃ
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻋﻦ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻧﻪ ﻗﺎﻝ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻟﻴﻠﺔ ﻛُﺘﺐ ﻟﻠﻌﺎﻣﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﺣﺴﻨﺎﺕُ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﺫﻟﻚ ﻟﺜﻼﺙ ﺑﻘﻴﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ، ﻓﻤﻦ ﺻﻠَّﻰ ﻓﻴﻪ ﺍﺛﻨﺘﻲ ﻋﺸﺮﺓ ﺭﻛﻌﺔ، ﻳﻘﺮﺃ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺔ ﻓﺎﺗﺤﺔ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ، ﻭﺳﻮﺭﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ، ﻳﺘﺸﻬﺪ ﻓﻲ ﻛﻞ ﺭﻛﻌﺘﻴﻨﻦ ﻭﻳﺴﻠﻢ ﻓﻲ ﺁﺧﺮﻫﻦ، ﻭﻳﻘﻮﻝ ﺑﻌﺪ ﺻﻼﺗﻪ : ﺳﺒﺤﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ، ﻭﻻ ﺇﻟﻪ ﺇﻻ ﺍﻟﻠﻪ، ﻭﺍﻟﻠﻪ ﺃﻛﺒﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺴﺘﻐﻔﺮ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ ، ﻭﻳﺼﻠﻲ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻣﺌﺔ ﻣﺮﺓ، ﻭﻳﺪﻋﻮ ﻟﻨﻔﺴﻪ ﻣﺎ ﺷﺎﺀ ﻣِﻦ ﺍﻣﺮ ﺩﻧﻴﺎﻩ ﻭﺁﺧﺮﺗﻪ، ﻭﻳﺼﺒﺢ ﺻﺎﺋﻤﺎً؛ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺴﺘﺠﻴﺐ ﺩﻋﺎﺀﻩُ ﻛﻠَّﻪ؛ ﺇﻻ ﺃﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ,
অর্থঃ হযরত আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-"রজবে একটি রাত রয়েছে যে, তাতে নেক আমলকারীদের জন্য "একশত বৎসরের" নেকীর সওয়াব রয়েছে আর তা হচ্ছে রজবের "সাতাইশ তারিখ" রজনী৷ যে ব্যক্তি এ রজনীতে "বার রাকাত" নামাজ পড়বে, প্রতি রাকাতে সূরা ফাতিহা ও একটি সূরা এবং প্রতি দুই রাকাত পর আত্তাহিয়্যাতু পড়বে আর শেষ সালাম ফিরানোর পর "সুবহাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার" একশত বার পড়বে৷ ইস্তিগফার তথা "আস্তাগফিরুল্লাহা রাব্বী মিন কুল্লি যাম্বি ওয়া আতুবু ইলাইহি লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম" একশত বার পড়বে৷ নবীজির উপর দুরুদ শরীফ তথা "আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিন ওয়া আলা আলিহি ওয়া আসহাবিহি ওয়া সাল্লিম" (অথবা যে কোন দুরুদ) একশত বার পাঠ করবে এবং স্বীয় ইহকাল ও পরকালের ব্যাপারে যা কিছু ইচ্ছা তার জন্য দু'আ করবে আর দিনে রোজা রাখবে, তবে আল্লাহ তা'য়ালা তার সকল দু'আ কবুল করবেন, ঐ দু'আ ছাড়া যা গুনাহের জন্য করা হয় ৷

সূত্রঃ
1• শু'আবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী, খন্ড-3, পৃষ্ঠা-374, হাদীস নং-3812,
2• ফাজায়িলুল আওক্বাত, ইমাম বায়হাকী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-97, হাদিস নং-12,
3• ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম
গাজ্জালী, অধ্যায়- ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ
4• জামিউল আহাদীস, খন্ড-14, পৃষ্ঠা- 496, হাদিস নং- 14812,
5• তাফসীরে দূররে মানছূর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, সূরা-তওবা, আয়াত নং-36, খন্ড-4, পৃষ্ঠা-139,
6• কানজুল উম্মাল, খন্ড-12, পৃষ্ঠা-312, হাদিস নং-35170,
7• জামিউল জাওয়ামে, খন্ড-1, বাবু হারফু ফা,
8• মা ছাবাতা মিনাচ্ছুন্নাহ, শায়খ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দিসে দেহলভী, পষ্ঠা নং-190,
9• মাজমুয়াতু মিন রাসায়িল, আল আদাবু ফি রজব, মোল্লা আলী ক্বারী, পৃষ্ঠা নং-48,
10• তানযীয়াতু শরীয়াতুল মারফুয়া, খন্ড-2, পৃষ্ঠা-89,
হাদিস নং-দুইঃ
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺍﻟﻔﺎﺭﺳﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ : ﻓﻲ ﺭﺟﺐ ﻳﻮﻡ ﻭﻟﻴﻠﺔ؛ ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻴﻮﻡ، ﻭﻗﺎﻡ ﺗﻠﻚ ﺍﻟﻠﻴﻠﺔ؛ ﻛﺎﻥ ﻛﻤﻦ ﺻﺎﻡ ﺍﻟﺪﻫﺮ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻗﺎﻡ ﻣﺌﺔ ﺳﻨﺔ، ﻭﻫﻮ ﻟﺜﻼﺙٍ ﺑﻘﻴﻦَ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ، ﻭﻓﻴﻪ ﺑﻌﺚ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ًﻣﺤﻤﺪﺍً
অর্থাৎ হযরত সালমান ফারসী রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- "রজবে একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যে ব্যক্তি এ দিনে রোজা রাখবে এবং রাত্রে ইবাদত করবে, তবে সে যেন "একশত বৎসর" রোজা রাখল এবং "একশত বৎসর" ইবাদত করল৷ আর তা হচ্ছে- রজবের "সাতাইশ তারিখ"৷ এ দিনেই মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক প্রেরণ করেছেন৷
সূত্রঃ
1• শু'আবুল ঈমান লিল বাইহাক্বী, খন্ড-3, পৃষ্ঠা-374, হাদীস নং-3811,
2• ফাজায়িলুল আওক্বাত, ইমাম বায়হাকী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-96, হাদিস নং-11,
3• গুনিয়াতুত ত্বালেবীন লিশ শায়খ আব্দুল ক্বাদীর জীলানী রাঃ, পৃষ্ঠা নং-240,
উল্লেখ্য যে, গাউছে পাক আপন উস্তাদ আবুল
বারাকাত হেবাতুল্লাহ রাঃ হতে পরস্পর সনদ সহ হযরত আবু সালামা থেকে, তিনি হযরত আবু হুরাইরা রাঃ ও সালমান ফারসী রাঃ হতে হাদীস শরীফ বর্ণনা করেন৷
4• তাফসীরে দূররে মানছূর, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী, সূরা- তওবা, আয়াত নং-36, খন্ড-4, পৃষ্ঠা-139,
5• কানজুল উম্মাল, খন্ড-12, পৃষ্ঠা-312, হাদিস নং-35169,
6• মুন্তাখাবু কানজুল উম্মাল, খন্ড-2, পৃষ্ঠা-362,
7• মা ছাবাতা মিনাচ্ছুন্নাহ, শায়খ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ, পৃষ্ঠা নং-175,
8• মাজমুয়াতু মিন রাসায়িল, আল-আদাবু ফি রজব, মোল্লা আলী ক্বারী রহঃ, পৃষ্ঠা নং-48,
9• মাউসুআতু তারীখে ইসলামী, মুহাম্মদ হাদী ইউসুফী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-381,
10• জামিউল জাওয়ামে, খন্ড-1, বাবু হারফু ফা,
হাদিস নং-তিনঃ
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ﻣﻦ ﺻﺎﻡ ﻳﻮﻡ ﺳﺒﻊ ﻭﻋﺸﺮﻳﻦ ﻣﻦ ﺭﺟﺐ ﻛﺘﺐ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻪ ﺻﻴﺎﻡ ﺳﺘﻴﻦ ﺷﻬﺮﺍً ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻴﻮﻡ ﺍﻟﺬﻱ ﺃﻫﺒﻂ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻴﻪ ﺟﺒﺮﺍﺋﻴﻞ ﻋﻠﻴﻪ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻰ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺑﺎﻟﺮﺳﺎﻟﺔ ـ
অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- "যে ব্যক্তি রজবের "সাতাইশ তারিখ" রোজা রাখবে, আল্লাহ পাক তার জন্য "ষাট মাস" অর্থাৎ পাঁচ বৎসর রোজা রাখার সওয়াব লিপিবদ্ধ করবেন৷ আর এটা ঐ দিন যাতে জিবরাঈল আলাইহিস সালাম মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি "রিসালাতের" দ্বায়িত্ব নিয়ে এসেছেন৷
সূত্রঃ
1• ইহইয়াউ উলুমুদ্দীন, হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম
গাজ্জালী রহঃ, অধ্যায়- ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻠﻴﺎﻟﻲ ﻭﺍﻻﻳﺎﻡ ﺍﻟﻔﺎﺿﻠﺔ ,
2• গুনিয়াতুত ত্বালেবীন, লিশ শায়খ আব্দুল ক্বাদির জীলানী রাঃ, পৃষ্ঠা নং-240,
উল্লেখ্য যে, গাউছে পাক আপন উস্তাদ আবুল
বারাকাত হেবাতুল্লাহ সাকতী থেকে,
তিনি তাঁর উস্তাদ শেখ আবু বকর আহমদ
ইবনে আলী সাবিত ইবনে খতীব থেকে,
তিনি তার উস্তাদ আব্দুল্লাহ ইবনে আলী
ইবনে বশীর থেকে, তিনি তাঁর উস্তাদ আলী
ইবনে হাফিজ থেকে, তিনি আবু বকর নসর
ইবনে জাইশুন ইবনে মুছা খাল্লাল থেকে,
তিনি আলী ইবনে সায়ীদ দাইলামী থেকে,
তিনি জামরাহ ইবনে রাবিয়া ক্বারশী
থেকে, তিনি ইবনে শাওজাব থেকে, তিনি
মাত্বার ওয়াররাক থেকে, তিনি শাহর
ইবনে হাওশাব থেকে, তিনি সাহাবী আবু
হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীস
বর্ণনা করেন৷
4• মাছাবাতা মিনাচ্ছুন্নাহ, শায়খ আব্দুল হক্ব মোহাদ্দেসে দেহলভী রহঃ, পৃষ্ঠা নং-176,
5• আল ইতহাফ, খন্ড-5, পৃষ্ঠা নং-208,
6• আল মায়ানী আলাল আমালিল ইসফার,
খন্ড-1, পৃষ্ঠা নং-367,
7• মাউসুআতু তারীখে ইসলামী, মুহাম্মদ হাদী ইউসুফী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-381,
8• সীরতে হলবিয়্যাহ, ইমাম বুরহানুদ্দীন হলবী, খন্ড-1, পৃষ্ঠা-384,
#আপত্তি ও তার জবাবঃ
তানযীহুশ শরীয়া গ্রন্থে (20/161), আবুল হাসান আলী, (ওফাত-963 হিজরী) সালমান ফারসী রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে বর্ণনা করেন-
قال الحافظ ابن الحجر العسقلاني في تبعين العجب "هو ابن بسطام النميمي الهروري" رؤي عن جماعة من التابعين و ضعفه ابن معين،
হাফিজুল হাদিস ইবনে হাজর আসকালানী "তাবয়ীনুল আজব" গ্রন্থে "ইবনে বুস্তম আন নামিমী আল হাজরামী সম্পর্কে বলেন- তিনি এক জামাত তাবেয়ী থেকে এ হাদিস বর্ণনা করেন৷ আর ইবনে মুঈন উনাকে যয়ীফ বলেছেন৷
উল্লেখিত হাদিস সম্পর্কে কিছু লোক মন্তব্য করে বিধায়- এ হাদিস শরীফ ওলীয়ে কামিল গাউছুল আ'যম আব্দুর কাদীর জিলানী রাঃ এর গুনিয়াতুত ত্বালিবীন কিতাবে বর্ণিত আলাদা সনদে উল্লেখ করেছি৷ যেখানে উক্ত বর্ণনাকারী নেই৷
এ হাদিস শরীফ গুলো হুজ্জাতুল ইসলাম ইমাম গাজ্জালী রহঃ উনার জগদ্বিখ্যাত কিতাব ইহইয়াউল উলুমুদ্দীন এ উল্লেখ করেছেন৷ যারা প্রায় হাজার বৎসর পূর্বে এর উপর আমল করেছেন৷
এছাড়া উক্ত হাদিস পৃথক সনদের বর্ণনার কথা আজ হতে প্রায় 1000 বৎসর পূর্বে ইমাম বায়হাকী রহঃ উনার শু'য়াবুল ঈমান গ্রন্থে (3/374) বলেছেন যে, و رؤي ذلك باسناد اخر اضعف "অন্য একটি সনদে এ হাদিসটি যয়ীফ বর্ণনাকারী কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে৷"
উল্লেখ্য যে, আমলের ব্যাপারে বিরোদ্ধে কোন সহীহ সনদের হাদিস না থাকলে যয়ীফ সনদের হাদিস অবশ্যই গ্রহণযোগ্য৷ কেননা হাদিসটি সহীহ, কিন্তু কোন এক বর্ণনাকারী দূর্বল৷
সর্বোপরি এ রজনীর ফজীলতে একাধিক হাদিস শরীফ উল্লেখ রয়েছে৷ যা শতাব্দীর পর শতাব্দী যাবৎ মহান বুজুর্গগণ বর্ণনা ও এর উপর আমল করে আসছেন৷ সুতরাং বিপথগামীদের ষড়যন্ত্রে শিকার হওয়া যাবেনা৷

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.